সদর প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর মিশনপাড়ায় মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবুর সঞ্চলনায়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক রাজিব আহসান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজিব আহসান বলেন, অনেকে বলে বিএনপি সংস্কার চায় না, ভোট চায়। বিএনপি কি বলেছে সংস্কার ছাড়া ভোট চায়? তোমরা তোমাদের রোড ম্যাপ দাও। কি কি কাজ করবা, কত সময় লাগবে সেটা বলো। তোমরাই তো জানো না তোমরা কি করতে চাও। অন্যের বুদ্ধিতে চললে হবে না। বিএনপি দ্রুত সংস্কার চায়। বিগত সময় আমরা ১ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছি। কিছু নেতা ভুল করে কিন্তু আমরা তাদের প্রশ্রয় করি কিনা সেটা আপনারা দেখবেন। তারেক রহমান আপনাদের অনেক ভালোবাসেন। এই ভালবাসার সাথে প্রতারণা করবেন না। ভুল পথে থাকলে সংশোধন হন, দল থেকে বের ছিটকে পড়ে থাকবেন। নারায়ণগঞ্জের অনেক বড় নেতা আছে যাকে অনেক সম্মান করতাম। সে লোভের কারণে দল থেকে ছিটকে গেছে। এখন তার খবরও কেউ নেয় না। মানুষের ভালোবাসা ছাড়া আমাদের পাশে কেউ নাই। এই ভালবাসার কারণেই আমরা ১৭ বছর টিকে ছিলাম।
তিনি আরও বলেন, আজ এই কর্মীসভায় উদ্দেশ্য হলো এই মহানগরের কমিটিকে গতিশীল করবো। সংযোজন ও বিয়োজন করে এই যারা সংগ্রামে ছিলেন তাদের নিয়ে কমিটিকে গতিশীল করবো। এতো আপনারা দলের জন্য কাজ করেছেন, আজ আপনারা দলের কাছে চাইবেন। আজ আপনাদের দলের কাছে পারিশ্রমিক চাওয়ার দিন। আপনাদের অনেকে অনেক কথা বলেছেন। তবে যারা বলতে পারেননি তাদের কোথাও আমরা জানি। নারায়ণগঞ্জের ৪ টি থানা আছে। এই থানাগুলোতে এই সম্মেলনের পর নতুন কমিটি হবে। বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভাবে ঢাকার পর অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হলো নারায়ণগঞ্জে। মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল ১৭ বছর এই রানা ও বাবুর নেতৃত্বে রাজপথে ছিল, কিন্ত তখন অনেকেই ছিলো না। বিগত সময়ে নারায়ণগঞ্জে গুলি চালানো ছিলো ডাল-ভাতের মত ব্যাপার। তারা মানুষকে মানুষ বলে গণ্য করতো না, নির্বিচারে গুলি করতো। এই রানা বাবু তখন মশাল মিথিল করেছে। তারা সংখ্যায় যাই হোক, তারা সংখ্যায় বেশি ছিল সেটার কৃতিত্ব সেচ্ছাসেবক দলকে দিতেই হবে। দলে রাজনৈতিক অরাজনৈতিক নেতাও আছে। এখন সরকারে বসে আছে এমন অনেকেই হাসিনার দালালি করেছে। আজ আমরা তাদের কথা শুনি আর হাসি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এম জি মাসুম রাসেল, সহ-সভাপতি এড সামলা সোমা, কেন্দ্রীয় সংসদের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ড. মিজান, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক গোলাম, সদস্য সফিকুল ইসলাম দেওয়ান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজীব,মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফাতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, মহানগর সেচ্ছসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুর রহমান সুমন, মিঠু ও বিভিন্ন থানা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।